নমস্কার, হিন্দু শাস্ত্র জ্ঞান পরিবারে আপনাকে স্বাগত জানাই । আজ আপনি জানবেন বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরে কোন ধরণের গাছ রাখা শুভ এবং কোন ধরণের গাছ অশুভ প্রভাব ফেলে ।
যদি আপনার বাস্তুভিটাতেও আপনি কোনো গাছ রেখেছেন এবং তার শুভ বা অশুভ ফলাফলের ব্যাপারে জানতে ইচ্ছুক তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
অন্যান্য কিছু তথ্য :
১. স্বপ্নে শ্মশান ঘাট দেখা বা জ্বলন্ত চিতা দেখা বা শ্মশান ঘাট সম্পর্কিত নানা স্বপ্নের মানে
২. বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরে কোন ধরণের গাছ রাখা শুভ এবং কোন ধরণের গাছ অশুভ প্রভাব ফেলে
৩. প্রহর কি ? প্রহর নির্ণয় পদ্ধতি
৪. স্বপ্নে সাপ দেখার অর্থ কি কি ? শুভ নাকি অশুভ ?
৫. তামা ধারণের ধার্মিক এবং বৈজ্ঞানিক কারণ সমূহ ।
৬. স্বপ্নে মাছ দেখার অর্থ কি কি ?
৭. শরীরের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?
৮. বাস্তু পুরুষ কে? কি ভাবে তার সৃষ্টি? রাক্ষস নাকি দেবতা?
৯. স্বপ্নে কোন ফল দেখলে কি হয়?
১০. ১৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধির কিছু টিপস
১১. কোন দেব দেবীর স্বপ্ন দেখলে কি ফল মেলে ?
১২. স্বপ্নে বিড়াল দেখার অর্থ কি ?
১৩. এই গাছের মূল ধারণ করলে সমস্ত লোক বশীভূত হবে
১৪. স্বপ্নে বিবাহ বা বিয়ে দেখার অর্থ কি?
১. স্বপ্নে শ্মশান ঘাট দেখা বা জ্বলন্ত চিতা দেখা বা শ্মশান ঘাট সম্পর্কিত নানা স্বপ্নের মানে
২. বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরে কোন ধরণের গাছ রাখা শুভ এবং কোন ধরণের গাছ অশুভ প্রভাব ফেলে
৩. প্রহর কি ? প্রহর নির্ণয় পদ্ধতি
৪. স্বপ্নে সাপ দেখার অর্থ কি কি ? শুভ নাকি অশুভ ?
৫. তামা ধারণের ধার্মিক এবং বৈজ্ঞানিক কারণ সমূহ ।
৬. স্বপ্নে মাছ দেখার অর্থ কি কি ?
৭. শরীরের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?
৮. বাস্তু পুরুষ কে? কি ভাবে তার সৃষ্টি? রাক্ষস নাকি দেবতা?
৯. স্বপ্নে কোন ফল দেখলে কি হয়?
১০. ১৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধির কিছু টিপস
১১. কোন দেব দেবীর স্বপ্ন দেখলে কি ফল মেলে ?
১২. স্বপ্নে বিড়াল দেখার অর্থ কি ?
১৩. এই গাছের মূল ধারণ করলে সমস্ত লোক বশীভূত হবে
১৪. স্বপ্নে বিবাহ বা বিয়ে দেখার অর্থ কি?
বাস্তু মতে, নানা গাছ গাছালির প্রভাব :
১. নিম গাছ: নিম গাছ বাস্তুভিটাতে থাকা খুবই শুভ । অনেক ঔষধীয় গুনাগুন যুক্ত এই গাছটির হাওয়া ঘরের রোগজীবাণু নষ্ট করে, চামড়া জনিত যেকোনো রোগ দূর করতে এই গাছ অত্যন্ত সহায়ক । তাছাড়া এই গাছ ঘরে থাকলে সেই ঘরে সহজে কোনো টোনা টোটকা বা কালো জাদু করা যায় না ।২. শ্বেত আকন্দ: এই আকন্দ গাছ দুই প্রকারের হয়ে থাকে, একটি শ্বেত আকন্দ আর একটি লাল আকন্দ, যে গাছের ফুল লাল সেটি লাল আকন্দ আর যে গাছের ফুল সাদা সেটি শ্বেত আকন্দ । আপনার বাড়িতে যদি স্বেত আকন্দ গাছ রাখেন তাহলে কোনো বিষধর সাপ আপনার বাড়ির ধারে কাছেও আসবে না । এই গাছটি বিশেষ ঔষধি গুন্ সম্পন্ন । গাছটি অতিবিষধর সাপের বিষ ধ্বংস করারও ক্ষমতা রাখে ।
৩. আমড়া গাছ: এই আমড়া গাছ আয়ুর্বেদিক গুন্ সম্পন্ন কিন্তু যদি বাস্তু জমিতে এই গাছ থাকে এবং যদি বাড়িতে কোনো বাতের রুগী থাকে, আর এই গাছের নিচ দিয়ে বার বার যাতায়াত করে তাহলে কোনো ঔষুধ তার সেই বাতের ব্যাথা সারাতে পারবে না ।
৪. কালমেঘ গাছ: মহা ঔষধিও গুণসম্পন্ন এই গাছ যদি আপনার বাস্তুতে থাকে তাহলে এই গাছের হাওয়া বাত পিত্ত কফ এই ত্রিদোষের নাশ করে । ঘরের মানুষেরা সহজে কোনো রোগে আক্রান্ত হয় না।
৫. তুলসী গাছ: এই তুলসী গাছ আপনার বাড়িতে থাকলে বায়ুতে থাকা অনেক রোগ জীবাণু নষ্ট করে । এই গাছের একাধিক ওষধীয় গুনাগুন, গাছটিকে দেবীর পর্যায়ে ভূষিত করে ।
৬. পার্থেনিয়াম গাছ: এই গাছ অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত, এই জন্য এই গাছকে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ বলেও ডাকা হয়ে থাকে । এই গাছ মানুষ সহ অন্যান জীব জন্তুর জন্যেও ক্ষতিকর । পার্থেনিয়ামের মূল উৎপত্তিস্থল মেক্সিকো। সেখান থেকে এই বিষাক্ত আগাছা ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা, আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশেসহ বিভিন্ন দেশে। পার্থেনিয়ামে রয়েছে Sesquiterpene Lactones নামক টক্সিন বা বিষ, যা গঠিত হয় Caffeic acid, Vanillic acid, Ansic acid, P-anisic acid, Chlorogenic acid, Ges Parahydroxy benzoic acid দ্বারা। এই গাছ এতটাই বিষাক্ত যে, যদি কোনো চাষের জমিতে এই গাছ জন্মায় তাহলে অন্যান ফসল উৎপাদন প্রায় ৪০% কমিয়ে দেয় । এই ধরণের গাছের সরাসরি সম্পর্ক মারাত্মক কিন্তু যদি এই গাছের হাওয়াও আপনার কাছে আসে তাহলে উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ব্যাথা এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগতে হতে পারে । হার্ট এট্যাকের সম্ভাবনা থাকে প্রবল । তাই এই গাছ যদি বাস্তুভিটাতে বা আসেপাশে থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কেটে পুড়িয়ে দিতে হবে ।
৭. গাব গাছ বা বিলাতি গাব: এই গাছের ফল খুবই সুস্বাদু আর কিছু আয়ুর্বেদিক গুনাগুন ও রয়েছে কিন্তু এই গাছ অশুভ শক্তি সম্পন্ন তাই যদি নিজের বাস্তুজমিতে এই গাছ রাখেন তাহলে ছোট বড় রোগ ব্যাধি লেগেই থাকবে । তাছাড়া এই গাছের হাওয়া অশুভ স্বপ্ন এবং ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
৮. অর্জুন গাছ: এই অর্জুন গাছ যদি আপনার বাড়িতে থাকে তাহলে সহজে কেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না, তবে সব ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী নয় । স্থান ভেদে এই ফলাফল ভিন্ন । যদি অর্জুন গাছ এবং গর্জন গাছ একত্রে আপনার বাড়িতে থাকে তাহলে আপনার বাড়িতে অশান্তি সহজে থামবে না, সব সময় জগড়াঝাটি লেগেই থাকবে ।
৯. শতমূল: এই গাছটি আপনার বাড়িতে থাকলে, বাড়িতে সহজে পোকামাকড় আসতে পারে না ।
১০. বাঁশ গাছ: এই গাছটির শুভ ফলাফলের সাথে অশুভ ফলাফলও রয়েছে । তান্ত্রিকরা তাদের নানা তন্ত্র ক্রিয়াতে এই বাঁশ গাছের ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু বাস্তুজমিতে এই গাছ না রাখাই ভালো, কারণ এই গাছের শীর্ষভাগ যদি আপনার বাড়ি স্পর্শ করে বা এই গাছের শিকড় যদি আপনার ঘরের নিচ পর্যন্ত চলে আসে তাহলে দুই ক্ষেত্রেই ঘরের নানা ক্ষতি হতে দেখা যায় । ঘরে নেগেটিভ শক্তির বাস শুরু হবার সাথে সাথে গৃহকর্তার নানা ক্ষতি হতে থাকে ।
১১. তাল গাছ: তাল গাছে অশুভ শক্তির বাস বলে মনে করা হয় তাই বাস্তুজমিতে এই গাছ রাখলে ছোট খাটো রোগ ব্যাধি লেগেই থাকে । তাছাড়া তাল গাছ অনেক লম্বা হওয়ার কারণে বাজে পড়ার সম্ভাবনা থাকে ।
১২. তেঁতুল গাছ: যদি আপনার বাড়িতে তেঁতুল গাছ থাকে এবং তার নিচ দিয়ে বার বার যাতায়াত করতে হয় বা সেই গাছের ছায়া আপনার বা আপনার বাড়ির উপর পড়ে তাহলে আপনার মেজাজ সহজে খিটখিটে হয়ে যাবে এবং বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকবে ।
১৩. কুল গাছ: কুল গাছ বাড়িতে থাকা শুভ এবং অনেক অশুভ শক্তি এই কুল গাছে নষ্ট হয় কিন্তু যদি কোনো জমির উপর তাল, তেতুল এবং কুল গাছ একত্রে পাশাপাশি থাকে তাহলে সেই জমি না কেনাই ভালো ।
১৪. কামিনী ফুলগাছ: এই গাছ বাড়িতে না রাখাই ভালো, কারণ এই গাছে যখন ফুল ধরবে তখন তার গন্ধে বিষাক্ত পুরুষ সাপের ছুটে আসবে আর এই গাছকে জড়িয়ে ধরবে । তাই এই গাছ ঘরে রাখার অর্থ বিষাক্ত সাপেদের আমন্ত্রণ দেওয়া ।
১৫. অশত্থ গাছ: অশত্থ গাছ সত্যের প্রতীক, এই গাছের আয়ু অনেক বেশি হয় আর এই গাছ আপনার বাড়িতে থাকলে বাড়িতে সুখ শান্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে । সাথে তান্ত্রিক ক্রিয়াতে কোনো অশুভ শক্তির অর্থাৎ নেগেটিভ এনার্জিকে প্রশমিত করতে এই অশত্থ গাছের নিচে পুঁতে দেওয়া হয় অথাৎ এই গাছ যে জমিতে থাকবে সেখানকার মাটি শুভ শক্তি সম্পন্ন হয় ।
১৬. খেজুর গাছ: এই খেজুর গাছ যদি বাস্তুজমিতে থাকে তাহলে তা খুবই শুভ । কেও যদি আপনার কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে সবটা আটকাতে না পারলেও কিছুটা ক্ষতি কমিয়ে দেয় এই খেজুর গাছ, যদি বাস্তুজমির চার কোনাতে চারটি খেজুর গাছ পুঁতে রাখা হয় তাহলে কোনো ছোট মতো টোনা টোটকা বা তন্ত্র শক্তি আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারে না । বস্তুর চারপাশে এই চারটি খেজুর গাছ বাস্তুবন্ধনের কাজ করে, কিন্তু কোনো বড়ো অশুভ তন্ত্রশক্তিকে এই বন্ধন আটকাতে পারে না, সেক্ষেত্রে এই খেজুর গাছে বাজে পড়ে বা পোকা লেগে যায় ।
১৭. আপাঙ্গ বা চিড়চিড়ে গাছ: এই গাছ দুই প্রকারের একটি সাদা এবং একটি লাল চিড়চিড়ে গাছ । সাদা চিড়চিড়ে গাছ যদি নিজের বাড়ির ছাদ বা চালের উপর লাগান তাহলে অনেক অশুভ শক্তিকে বাড়ি থেকে দূরে রাখে এবং সাথে গ্রহ দোষ দূর করতেও এই গাছ সহায়ক । কিন্তু মনে রাখবেন যেকোনো দিন এই গাছ লাগালে হবে না, শুধুমাত্র মঙ্গল বা শনি বার দিন এই ক্রিয়া করতে পারেন । লাল চিড়চিড়ে গাছের কান্ড লাল আর সাদা চিড়চিড়ে গাছের কান্ড সবুজ, তাই যে গাছটি পুরো সবুজ সেই গাছটি আপনাকে লাগাতে হবে, লাল আপাঙ্গ গাছ লাগালে হবে না ।
তাছাড়া দুটো গাছ রয়েছে যেগুলো ঘরের মারাত্মক অশুভ শক্তি দূর করতে সক্ষম, গাছগুলির ছবি আমি সংগ্রহ করতে পারিনি তাই শুধু নাম বলে দিচ্ছি, যদি আপনারা চিনেন তাহলে সংগ্রহ করে বাড়িতে লাগাতে পারেন:
প্রথম গাছটি হলো ভুতরাজ গাছ এবং অন্যটি হলো দানবরাজ গাছ ।
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আপনার দিনটি শুভ হোক ।
0 Comments