ঠাকুরঘরে কখনোই রাখবেন না এই জিনিস ।। সংসার জ্বলে পুড়ে যাবে ।। Vastu Tips 2019

নমস্কার হিন্দু শাস্ত্র জ্ঞান পরিবারে আপনাকে স্বাগত জানাই। আজ আপনারা জানবেন ঠাকুরঘরে এমন কোন জিনিস রাখা উচিত নয় যার ফলে আপনার সংসারের চরম ক্ষতি হতে পারে। জ্বলে পুড়ে যেতে পারে সংসার ।
ঠাকুরঘরে কখনোই রাখবেন না এই জিনিস

আমাদের সকলের বাড়িতেই ঠাকুরঘর রয়েছে । ঠাকুরঘরকে আমরা নানান ভাবে সাজিয়ে তুলি। সে অনেক ফুল দিয়ে বা অনেক দেবদেবীর প্রতিমা দিয়ে আমরা ঠাকুরঘর সাজাই । প্রতিদিন আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে ঠাকুরঘরে যাই পূজার্চনা করতে । ঠাকুরঘরে দেবদেবির পূজা করলে তাঁরা প্রসন্ন হন । ঠাকুরের আশীর্বাদে সংসারের মঙ্গল হয় । কিন্তু আপনারা কি জানেন ঠাকুরঘরে এমন কিছু জিনিস রাখলে দেবদেবীরা অপ্রসন্ন হতে পারেন আর এর ফলে সংসারের অমঙ্গল হতে পারে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুরঘরে এমন কি কি জিনিস রাখা আপনার পরিবারের জন্য অশুভ ।

আমাদের সকলের কাছেই ঠাকুরঘর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র স্থান । তবে সনাতন ধর্ম অনুযায়ী ঠাকুর ঘরেরও কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো না মানলে সংসার জ্বলে পুড়ে যেতে পারে । বাস্তুমতে কিছু জিনিস রয়েছে, যা ঠাকুরঘরে রাখা যেমন শুভ, তেমনই কিছু জিনিস রয়েছে যা অশুভ। বাড়ির সদস্যদের ক্ষতির কারণও হয়ে উঠতে পারে। তাই জেনে নিন কোন জিনিস ঠাকুর ঘরে রাখবেন না -ঠাকুরঘরে কোন কোন দেবতার ছবি রাখবেন বা কোন দেবতার ছবি রাখবেন না সেটারও একটা নিয়ম রয়েছে ।

১) ঠাকুরঘরে কখনই যে কোনো একজন দেবতার দুটো ছবি রাখা একেবারেই উচিত নয় । এমনকি দুটো শিবলিঙ্গ রাখা খুবই অশুভ । ঠাকুরঘরে একই দেবতার দুটো ছবি রাখলে সংসারে ঘোর দারিদ্রতা নেমে আসতে পারে । এমনকি পরিবারের লোকজনদের শরীর অসুস্থ হতে পারে ।

২) আমরা অনেকেই ঠাকুরঘরে রামায়ণ বা মহাভারতের যুদ্ধের ছবি রাখি । কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুরঘরে কিংবা ঘরের যে কোনো জায়গায় কোনো যুদ্ধের ছবি রাখা একেবারেই উচিত নয় । এতে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে ।

৩) ঠাকুরঘরে কখনোই ভেঙে যাওয়া কোনো দেবদেবীর ছবি বা মূর্তি রাখা উচিত নয় । এতে স্বামী বা সন্তানের কর্মক্ষেত্রে বিগ্ন ঘটতে পারে ।

৪) বাড়ির ঠাকুরঘরে নটরাজের মূর্তি রাখা খুবই অশুভ । ভগবান শিবের এই রূপকে নৃত্যশৈলীর প্রতীক বলে মনে করা হয়, অন্যদিকে তা প্রলয়ের রূপও। তাই বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে নটরাজের মূর্তি না রাখাই ভালো।

৫) ঠাকুরঘরকে সাজানোর জন্য আমরা অনেকেই তাজমহলের ছবি বা অন্য কোনো ছবি লাগিয়ে থাকি । তাজমহল ভালোবাসার প্রতীক হলেও বাস্তুমতে বলা হয়ে থাকে ঘরে তাজমহলের ছবি বা শো পিস রাখা উচিত নয় । এতে পরিবারে মৃত্যু বা নিস্ক্রিয়তা ধাওয়া করতে পারে ।

৬) আমরা অনেকেই ঠাকুর ঘরে তুলসী গাছ রাখি । কিন্তু মনে রাখবেন ঠাকুরঘরে রাখা তুলসী গাছ যেন কখনোই শুকিয়ে না যায় । এতে পরিবারে ঝগড়ার সৃষ্টি হতে পারে ।

৭) আমরা সকলেই জানি যে মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করা উচিত । আর সেই জন্য মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনায়, রোজ ধুপ ফুল দেওয়া হয় মৃতের ছবির সামনে। মনে করা হয় এতে তাঁর আত্মা শান্তি পায়। আবার অনেকে ঠাকুরঘরে মৃত ব্যক্তির ছবি রেখে পূজা করেন ।
দেবতার সঙ্গেই ফুল মালা দিয়ে পুজো করা হয় তারও। কারো মৃত্যু হলে তাকে ভগবানের আসনে বসানো হয়, কিন্তু বাস্তুমতে ঠাকুরঘরে মৃত ব্যক্তির ছবি রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়ে থাকে । বলা হয় ঠাকুর ঘরে মৃত ব্যক্তির ছবি দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে দেবতার সঙ্গে সাধারণ মানুষের তুলনা করা হয়েছে যা উচিত নয়।

ঠাকুর ঘরে মৃত ব্যক্তির ছবি রেখে পুজো করা আপনার মতে কি যুক্তিযুক্ত? অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

এই ছিল বাস্তুশাস্ত্রের কিছু রীতি ও নীতি। তবে ভিউয়ার্স এরপর যা বলতে চলেছি তা আপনারাই বিচার করুন যে সেটি ভুল না সঠিক।

১) একটি সন্তানের কাছে তার বাবা মায়ের গুরুত্ব টাই আলাদা। আমাদের সকলেরই পিতা-মাতা আছে তারা আমাদের জন্ম দিয়ে এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে। আর এই কথা তো সত্য কথা যে জন্ম দিতে পারে সেই প্রকৃত ভগবান।
বরং এটা হওয়া উচিত মা বাবার ছবির সাথে কোনো দেবতার ছবি রাখা যাবে না। আপনার মতামত কমেন্টে জানাবেন ।

২)  অন্যদিকে আমরা সকলেই জানি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, মা সারদা, লোকনাথ ব্রহ্মচারী ও স্বামীজীর মত অনেক মনীষীদের আজও আমরা ঠাকুর ঘরে পূজো করে থাকি যদিও ইনারা আর জীবিত নেই অর্থাৎ ওনারা তো মারা গেছেন তাহলে কি বাস্তুশাস্ত্র মতে ওনাদের ফটো ঠাকুর ঘরে রেখে পূজো করা যাবে না?

আশা করছি ভিডিওটিতে দেওয়া তথ্যগুলি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক করুন এবং যতটা সম্ভব শেয়ার করুন এবং আপনাদের মতামত কমেন্টে জানান এবং পরবর্তী ভিডিও সবার আগে দেখার জন্য "Hindu Shastra Gyan" চ্যানেলটিকে এক্ষনি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি প্রেস করুন।

ভিডিওটি দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার দিনটি শুভ হোক ।




Post a Comment

0 Comments