নমস্কার হিন্দু শাস্ত্র জ্ঞান পরিবারে আপনাকে স্বাগত জানাই । আজকে আমি আপনাদের এমন ৫ টি শক্তিশালী অস্ত্রের ব্যাপারে বলবো, যেগুলো ব্রহ্মাস্ত্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী ছিল ।
প্রাচীন ইতিহাস এবং নানা ধর্মগ্রন্থে এমন অনেক অস্ত্রের কথাই উল্লেখিত রয়েছে, যা আমাদের ব্রহ্মান্ড কে ধ্বংস করে দেবার ক্ষমতা রাখে । এই অস্ত্র গুলির আবাহন এবং ব্যবহার করার জ্ঞান ছিল দেবতা এবং কিছু মানুষের কাছে ।
প্রাচীন ইতিহাসে দেবতাদের মধ্যে অনেক যুদ্ধ হয়েছে যেখানে আলাদা আলাদা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, যে কোন অস্ত্র সব থেকে বেশি শক্তিশালী ।
বেশিরভাগ পুরাণেই বর্ণিত রয়েছে যে ব্রহ্মাস্ত্রই ব্রহ্মান্ডের সব থেকে শক্তিশালী অস্ত্র কিন্তু আমরা যদি বেদের অধ্যয়ণ নিখুঁত ভাবে করি তাহলে আমরা জানতে পারবো এটি সত্যি নয় ।
এরকম অনেক অস্ত্রের কথাই বেদে উল্লেখিত রয়েছে যেগুলি ব্রহ্মাস্ত্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী ছিল, এমনকি ব্রহ্মাস্ত্রকে ধ্বংস করার ক্ষমতাও রাখতো ।
এই সব অস্ত্রের শক্তি এতটাই ছিল যে যখনি এই সব অস্ত্রের কোনো একটি ব্যবহার করা হয়েছে তখনি ভারী মাত্রায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রকৃতিকে, আর এই কারণেই এই সব অস্ত্রের ব্যবহার যেমন হয়েছে খুব কম, তেমনি এই দুর্লভ অস্ত্র শস্ত্রের জ্ঞানও সকলকে প্রদান করা হয়নি । আর হয়তো এই কারণেই বেশিরভাগ পুরান এবং ধর্মগ্রন্থে এই সব অস্ত্রের তেমন উল্লেখ নেই ।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব অস্ত্রের ব্যাপারে, যেগুলি ব্রহ্মাস্ত্রের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল ।
তার আগে মনে করিয়ে দিতে চাই, যদি আপনি এই চ্যানেলে নতুন আর এই ধরণের ভিডিও আরো দেখতে চান তাহলে চ্যানেলটি এখনো সাবস্ক্রাইব করে পাশের বেল আইকন টিতে ক্লিক করুন । এতে করে যখনি কোনো নতুন ভিডিও আপলোড করা হবে তার সর্বপ্রথম নোটিফিকেশন আপনি পেয়ে যাবেন । আর যদি আপনি আগে থেকেই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রেখেছেন এবং আমাদের হিন্দু শাস্ত্র জ্ঞান পরিবারের সদস্য তাহলে ভিডিওটি লাইক এবং যথাসম্ভব শেয়ার করে এই চ্যানেলটিকে সাহায্য করুন ।
ব্রহ্মশির অস্ত্র বা ব্রহ্মশিরাস্ত্র : এই অস্ত্রটি ছিল ব্রহ্মাস্ত্রের অতি বিকশিত রূপ যা ব্রহ্মাস্ত্রের থেকে ৪ গুন্ বেশি শক্তিশালী ছিল । এই অস্ত্রটি যখন চালানো হতো তখন ব্রহ্মাদেবের চারটি মাথার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠতো অর্থাৎ ব্রহ্মার চার মাথার শক্তি ছিল এই অস্ত্রটির মধ্যে । এই অস্ত্রটিকে যদি ব্রহ্মাস্ত্রের বিরুদ্ধে চালানো হতো তাহলে ব্রহ্মাস্ত্রকেও নষ্ট করার ক্ষমতা ছিল এই অস্ত্রের ।
ব্রহ্মান্ড অস্ত্র বা ব্রহ্ম দন্ড অস্ত্র : এই অস্ত্রটি ছিল ব্রহ্মার পঞ্চম মাথার প্রতিরূপ, যা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এক সাথে যদি ব্রহ্মশির এবং ব্রহ্মাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হতো তো এই দুই অস্ত্রকেই একসাথে নষ্ট করে দিতে পারতো । ব্রহ্মার পঞ্চম মাথার ব্যাপারে হয়তো অনেকেরই অজানা কারণ বেশিরভাগ গ্রন্থে ব্রহ্মদেবকে চতুর্মুখ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাই পরবর্তী ভিডিওতে আমি আপনাদের ব্রহ্মদেবের এই পঞ্চম মস্তকের কথা শোনাবো ।
একবার বিশ্বামিত্র এবং বশিষ্ঠ মুনির মধ্যে যুদ্ধ হয় এবং সেই যুদ্ধে বশিষ্ঠ মুনি এই অস্ত্রের প্রয়োগ করতে বিশ্বামিত্র মুনি স্বীকার করেন যে এই অস্ত্র ব্রহ্মাস্ত্র এবং ব্রহ্মাসিরা অস্ত্রর থেকেও বেশি শক্তিশালী ।
সুদর্শন চক্র : ভগবান শ্রী কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র ছিল ব্রহ্মাস্ত্র, ব্রহ্মাসির অস্ত্র এবং ব্রহ্মাণ্ড অস্ত্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী, যা তিনি পেয়েছিলেন শ্রী বিষ্ণুর কাছ থেকে । সুদর্শন চক্র তার পথে আসা যেকোনো বাধা ধ্বংস করে দিতে পারে এবং এই অস্ত্র একবার প্রয়োগ করা হলে নিজের লক্ষ্য পূরণ না করে ফিরে আসতো না ।
পাশুপতাস্ত্র : দেবাদিদেব মহাদেবের ত্রিশূলের প্রতিরূপ এই অস্ত্র এতটাই শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ছিল যে ভগবান শিব এই অস্ত্রের জ্ঞান বহুকাল ধরে নিজের কাছেই সীমিত রেখেছিলেন এবং মহাভারত যুদ্ধের আগে ধনঞ্জয় অর্জুন মহাদেবের ঘোর তপস্যা করে এই অস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করেন । এই অস্ত্রটি ছিল অমোঘ এবং বহুদূরের কোনো এমন বস্তু যা দৃষ্টির আড়ালে তাকেও লক্ষ্য করে এই অস্ত্র চালনা করা সম্ভব ছিল । পাশুপতাস্ত্র যার উপর প্রয়োগ করা হতো তিনি মুহূর্তে ভস্মে পরিণত হতেন এবং এই অস্ত্র দিয়ে নষ্ট করা জিনিস কখনো পুনরায় ফিরিয়ে আনা যেত না ।
নারায়ণী অস্ত্র: এই অস্ত্র পাশুপতাস্ত্রের মতোই শক্তিশালী ছিল । এই অস্ত্র কারো উদ্দেশে একবার চালনা করা হলে তা আকাশে শত্রূর সামনে সুদর্শন চক্রের মতো ঘুরতে থাকতো এবং এই অস্ত্র থেকে অন্যান্য বিধ্বংসী অস্ত্র বের হয়ে বার বার আঘাত করতো শত্রূ বা তার সেনার উপর । এই অস্ত্র নষ্ট করার কোনো উপায় ছিল না । এই অস্ত্র থেকে বাঁচতে শুধুমাত্র একটিয়েই উপায় ছিল এবং তা হলো আত্ম সমর্পন । মহাভারত যুদ্ধে অশ্বত্থামা যখন পান্ডব সেনার উপর এই মহা ভয়ঙ্কর অস্ত্রের প্রয়োগ করেছিল তখন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সহিত সমস্ত পান্ডব সেনা এই অস্ত্রের সামনে, নত মস্তক হয়ে জোড় হাত করে আত্মসমর্পন করেছিল । এই অস্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে বা এই অস্ত্রের বিপক্ষে কোনো অন্য অস্ত্র নিক্ষেপ করলে এই নারায়ণী অস্ত্র সেই অস্ত্রকে নিজের মধ্যে সমাহিত করে তার সমস্ত শক্তি শোষণ করে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতো ।
পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক এবং শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।
আপনার দিনটি শুভ হোক ।
ব্রহ্মাস্ত্রের এর চেয়েও শক্তিশালী পাঁচটি অস্ত্র
প্রাচীন ইতিহাস এবং নানা ধর্মগ্রন্থে এমন অনেক অস্ত্রের কথাই উল্লেখিত রয়েছে, যা আমাদের ব্রহ্মান্ড কে ধ্বংস করে দেবার ক্ষমতা রাখে । এই অস্ত্র গুলির আবাহন এবং ব্যবহার করার জ্ঞান ছিল দেবতা এবং কিছু মানুষের কাছে ।
প্রাচীন ইতিহাসে দেবতাদের মধ্যে অনেক যুদ্ধ হয়েছে যেখানে আলাদা আলাদা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, যে কোন অস্ত্র সব থেকে বেশি শক্তিশালী ।
বেশিরভাগ পুরাণেই বর্ণিত রয়েছে যে ব্রহ্মাস্ত্রই ব্রহ্মান্ডের সব থেকে শক্তিশালী অস্ত্র কিন্তু আমরা যদি বেদের অধ্যয়ণ নিখুঁত ভাবে করি তাহলে আমরা জানতে পারবো এটি সত্যি নয় ।
এরকম অনেক অস্ত্রের কথাই বেদে উল্লেখিত রয়েছে যেগুলি ব্রহ্মাস্ত্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী ছিল, এমনকি ব্রহ্মাস্ত্রকে ধ্বংস করার ক্ষমতাও রাখতো ।
এই সব অস্ত্রের শক্তি এতটাই ছিল যে যখনি এই সব অস্ত্রের কোনো একটি ব্যবহার করা হয়েছে তখনি ভারী মাত্রায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রকৃতিকে, আর এই কারণেই এই সব অস্ত্রের ব্যবহার যেমন হয়েছে খুব কম, তেমনি এই দুর্লভ অস্ত্র শস্ত্রের জ্ঞানও সকলকে প্রদান করা হয়নি । আর হয়তো এই কারণেই বেশিরভাগ পুরান এবং ধর্মগ্রন্থে এই সব অস্ত্রের তেমন উল্লেখ নেই ।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব অস্ত্রের ব্যাপারে, যেগুলি ব্রহ্মাস্ত্রের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল ।
তার আগে মনে করিয়ে দিতে চাই, যদি আপনি এই চ্যানেলে নতুন আর এই ধরণের ভিডিও আরো দেখতে চান তাহলে চ্যানেলটি এখনো সাবস্ক্রাইব করে পাশের বেল আইকন টিতে ক্লিক করুন । এতে করে যখনি কোনো নতুন ভিডিও আপলোড করা হবে তার সর্বপ্রথম নোটিফিকেশন আপনি পেয়ে যাবেন । আর যদি আপনি আগে থেকেই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রেখেছেন এবং আমাদের হিন্দু শাস্ত্র জ্ঞান পরিবারের সদস্য তাহলে ভিডিওটি লাইক এবং যথাসম্ভব শেয়ার করে এই চ্যানেলটিকে সাহায্য করুন ।
ব্রহ্মশির অস্ত্র বা ব্রহ্মশিরাস্ত্র : এই অস্ত্রটি ছিল ব্রহ্মাস্ত্রের অতি বিকশিত রূপ যা ব্রহ্মাস্ত্রের থেকে ৪ গুন্ বেশি শক্তিশালী ছিল । এই অস্ত্রটি যখন চালানো হতো তখন ব্রহ্মাদেবের চারটি মাথার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠতো অর্থাৎ ব্রহ্মার চার মাথার শক্তি ছিল এই অস্ত্রটির মধ্যে । এই অস্ত্রটিকে যদি ব্রহ্মাস্ত্রের বিরুদ্ধে চালানো হতো তাহলে ব্রহ্মাস্ত্রকেও নষ্ট করার ক্ষমতা ছিল এই অস্ত্রের ।
ব্রহ্মান্ড অস্ত্র বা ব্রহ্ম দন্ড অস্ত্র : এই অস্ত্রটি ছিল ব্রহ্মার পঞ্চম মাথার প্রতিরূপ, যা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এক সাথে যদি ব্রহ্মশির এবং ব্রহ্মাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হতো তো এই দুই অস্ত্রকেই একসাথে নষ্ট করে দিতে পারতো । ব্রহ্মার পঞ্চম মাথার ব্যাপারে হয়তো অনেকেরই অজানা কারণ বেশিরভাগ গ্রন্থে ব্রহ্মদেবকে চতুর্মুখ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাই পরবর্তী ভিডিওতে আমি আপনাদের ব্রহ্মদেবের এই পঞ্চম মস্তকের কথা শোনাবো ।
একবার বিশ্বামিত্র এবং বশিষ্ঠ মুনির মধ্যে যুদ্ধ হয় এবং সেই যুদ্ধে বশিষ্ঠ মুনি এই অস্ত্রের প্রয়োগ করতে বিশ্বামিত্র মুনি স্বীকার করেন যে এই অস্ত্র ব্রহ্মাস্ত্র এবং ব্রহ্মাসিরা অস্ত্রর থেকেও বেশি শক্তিশালী ।
সুদর্শন চক্র : ভগবান শ্রী কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র ছিল ব্রহ্মাস্ত্র, ব্রহ্মাসির অস্ত্র এবং ব্রহ্মাণ্ড অস্ত্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী, যা তিনি পেয়েছিলেন শ্রী বিষ্ণুর কাছ থেকে । সুদর্শন চক্র তার পথে আসা যেকোনো বাধা ধ্বংস করে দিতে পারে এবং এই অস্ত্র একবার প্রয়োগ করা হলে নিজের লক্ষ্য পূরণ না করে ফিরে আসতো না ।
পাশুপতাস্ত্র : দেবাদিদেব মহাদেবের ত্রিশূলের প্রতিরূপ এই অস্ত্র এতটাই শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ছিল যে ভগবান শিব এই অস্ত্রের জ্ঞান বহুকাল ধরে নিজের কাছেই সীমিত রেখেছিলেন এবং মহাভারত যুদ্ধের আগে ধনঞ্জয় অর্জুন মহাদেবের ঘোর তপস্যা করে এই অস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করেন । এই অস্ত্রটি ছিল অমোঘ এবং বহুদূরের কোনো এমন বস্তু যা দৃষ্টির আড়ালে তাকেও লক্ষ্য করে এই অস্ত্র চালনা করা সম্ভব ছিল । পাশুপতাস্ত্র যার উপর প্রয়োগ করা হতো তিনি মুহূর্তে ভস্মে পরিণত হতেন এবং এই অস্ত্র দিয়ে নষ্ট করা জিনিস কখনো পুনরায় ফিরিয়ে আনা যেত না ।
নারায়ণী অস্ত্র: এই অস্ত্র পাশুপতাস্ত্রের মতোই শক্তিশালী ছিল । এই অস্ত্র কারো উদ্দেশে একবার চালনা করা হলে তা আকাশে শত্রূর সামনে সুদর্শন চক্রের মতো ঘুরতে থাকতো এবং এই অস্ত্র থেকে অন্যান্য বিধ্বংসী অস্ত্র বের হয়ে বার বার আঘাত করতো শত্রূ বা তার সেনার উপর । এই অস্ত্র নষ্ট করার কোনো উপায় ছিল না । এই অস্ত্র থেকে বাঁচতে শুধুমাত্র একটিয়েই উপায় ছিল এবং তা হলো আত্ম সমর্পন । মহাভারত যুদ্ধে অশ্বত্থামা যখন পান্ডব সেনার উপর এই মহা ভয়ঙ্কর অস্ত্রের প্রয়োগ করেছিল তখন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সহিত সমস্ত পান্ডব সেনা এই অস্ত্রের সামনে, নত মস্তক হয়ে জোড় হাত করে আত্মসমর্পন করেছিল । এই অস্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে বা এই অস্ত্রের বিপক্ষে কোনো অন্য অস্ত্র নিক্ষেপ করলে এই নারায়ণী অস্ত্র সেই অস্ত্রকে নিজের মধ্যে সমাহিত করে তার সমস্ত শক্তি শোষণ করে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতো ।
পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক এবং শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।
আপনার দিনটি শুভ হোক ।
0 Comments