নমস্কার হিন্দু শাস্ত্র জ্ঞান পরিবারে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই ।
প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ ৷ জীবজন্তু, গাছপালা, কীটপতঙ্গ, জলচর প্রাণী থেকে মানুষ কেউই প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্দ্বে নয় ৷ অন্যান্য প্রাণীরা যেখানে প্রাকৃতিক নিয়মের বশবর্তী হয়ে যুগ যুগ ধরে প্রায় একই ভাবে চলে আসছে, সেখানে মানুষ কিন্তু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই ৷ উন্নত ও বিকশিত মস্তিষ্কের সাহায্যে মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে না গিয়েও জগত্ জয় করেছে ৷ শুধু যে তারা সমাজ ও সভ্যতা সৃষ্টি করেছে তা কিন্তু নয়, তারা রোগকে জয় করে চলেছে, মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন গ্রহে রকেটও পাঠাচ্ছে । সবই কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম মেনেই ৷ এইভাবে মানুষ এগিয়ে চলেছে ক্রমাগত ৷ মানুষ তার এই এগিয়ে চলার পথে একসময় অনুভব করে বাস্তুর প্রয়োজনীয়তা ।বাস্তুশাস্ত্র মতে আমাদের বাসস্থানে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলো আমাদের জীবনকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে থাকে । তাই বাস্তু মেনে চলা আমাদের জীবনে খুবই জরুরি ।
বাস্তু শাস্ত্র মতে গৃহবাস্তুর একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হলো ঝাঁটা । তাই বাস্তু বিশেষজ্ঞরা ঝাঁটা নিয়ে দিয়ে থাকেন নানান সতর্কি বার্তা ।
আজ আপনারা জানতে পারবেন ঝাঁটায় পা লাগানো কেন অশুভ ? আর সেটা জানার জন্য পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
বাড়ি হোক অথবা অফিস, ঝাঁটার ব্যবহার প্রায় সর্বত্র হয়। বাস্তু মতে, ঝাঁটা মা লক্ষ্মীর প্রতীক। ফলে, এর সঙ্গে যুক্ত শুভ-অশুভ বিষয়গুলির প্রভাব সরাসরি মানুষের জীবনে পড়ে। কয়েকটি বিষয় খেয়াল না রাখলে ঝাঁটাই মানুষের আর্থিক দুর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে। ফলে ঝাঁটা ব্যবহার সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় সবসময়ে মাথায় রাখা উচিত।
১) বাড়ি হোক বা অফিস, যখন ব্যবহার করা হচ্ছে না তখন ঝাঁটা এমন জায়গায় রাখুন যাতে তা সবসময়ে নজরে না পড়ে। সবসময়ে ঝাঁটা চোখের সামনে দেখলে তা অশুভ বলে মানা হয়। খোলা জায়গায় ঝাঁটা রাখলে ঘর অথবা অফিসের ধন সম্পদ বাইরে চলে যায় বলে, বাস্তু মতে সতর্ক করা হয়।
২) ঝাঁটা নষ্ট হয়ে গেলে বা ঝাঁটার বাঁধন আলগা হয়ে গেলে বা ভেঙে গেলেও তা ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু ঝাঁটা খুলে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দেওয়া উচিত। না হলে আর্থিক দুশ্চিন্তার কবলে পড়তে হতে পারে।
৩) সম্ভব হলে ঝাঁটা পশ্চিম দিকের কোনও ঘরে রাখা উচিত। তাহলে ঝাঁটার থেকে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে না।
৪) সন্ধেবেলা ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়। বাস্তু মতে, এর ফলে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হতে পারেন। ফলে, সন্ধে বা রাতের দিকে ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়।
৫) ঝাঁটা কখনও দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত নয়। ঝাঁটা দাঁড় করিয়ে রাখলে তা অশুভ বলে বিশ্বাস করা হয়। সেই কারণেই সবসময়ে ঝাঁটা শুইয়ে রাখা উচিত।
৬) শনিবার নতুন ঝাঁটা কখনও ব্যবহার শুরু করবেন না।
৭) হিন্দু ধর্মে ঝাঁটাকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক বলে বিশ্বাস করা হয়। ফলে কোনও সময়েই ঝাঁটায় পা লাগানো উচিত নয়। ঝাঁটায় পা লাগালে তা মা লক্ষ্মীর অপমান বলে বিশ্বাস করা হয়। ফলে, তার জেরে পরিবারে আর্থিক দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে।
৮) যদি কোনও সময়ে ঝাঁটা ধোয়া হয়, তাহলে তা যেন পরিষ্কার জলে ধোয়া হয়। নোংরা জলে ঝাঁটা ধোয়া হলে তার প্রভাবে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে।
তো ভিউয়ার্স এই ছিল আমাদের আজকের পোস্ট । পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার পরিজন বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন । আর হ্যা আপনি যদি এরকম ভিডিও দেখতে চান তাহলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি এখনই সাবস্ক্রাইব করে পাশের বেল আইকন এ ক্লিক করে রাখুন যেন নতুন ভিডিওগুলো আপনি সবার আগে পেয়ে যেতে পারেন ।
ধন্যবাদ ।
ঝাড়ুু রাখুন ঘরের এই জায়গায়, বদলে যাবে আপনার অর্থভাগ্য । Vastu Tips in Bengali
প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ ৷ জীবজন্তু, গাছপালা, কীটপতঙ্গ, জলচর প্রাণী থেকে মানুষ কেউই প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্দ্বে নয় ৷ অন্যান্য প্রাণীরা যেখানে প্রাকৃতিক নিয়মের বশবর্তী হয়ে যুগ যুগ ধরে প্রায় একই ভাবে চলে আসছে, সেখানে মানুষ কিন্তু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই ৷ উন্নত ও বিকশিত মস্তিষ্কের সাহায্যে মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে না গিয়েও জগত্ জয় করেছে ৷ শুধু যে তারা সমাজ ও সভ্যতা সৃষ্টি করেছে তা কিন্তু নয়, তারা রোগকে জয় করে চলেছে, মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন গ্রহে রকেটও পাঠাচ্ছে । সবই কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম মেনেই ৷ এইভাবে মানুষ এগিয়ে চলেছে ক্রমাগত ৷ মানুষ তার এই এগিয়ে চলার পথে একসময় অনুভব করে বাস্তুর প্রয়োজনীয়তা ।বাস্তুশাস্ত্র মতে আমাদের বাসস্থানে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলো আমাদের জীবনকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে থাকে । তাই বাস্তু মেনে চলা আমাদের জীবনে খুবই জরুরি ।
বাস্তু শাস্ত্র মতে গৃহবাস্তুর একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হলো ঝাঁটা । তাই বাস্তু বিশেষজ্ঞরা ঝাঁটা নিয়ে দিয়ে থাকেন নানান সতর্কি বার্তা ।
আজ আপনারা জানতে পারবেন ঝাঁটায় পা লাগানো কেন অশুভ ? আর সেটা জানার জন্য পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
বাড়ি হোক অথবা অফিস, ঝাঁটার ব্যবহার প্রায় সর্বত্র হয়। বাস্তু মতে, ঝাঁটা মা লক্ষ্মীর প্রতীক। ফলে, এর সঙ্গে যুক্ত শুভ-অশুভ বিষয়গুলির প্রভাব সরাসরি মানুষের জীবনে পড়ে। কয়েকটি বিষয় খেয়াল না রাখলে ঝাঁটাই মানুষের আর্থিক দুর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে। ফলে ঝাঁটা ব্যবহার সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় সবসময়ে মাথায় রাখা উচিত।
১) বাড়ি হোক বা অফিস, যখন ব্যবহার করা হচ্ছে না তখন ঝাঁটা এমন জায়গায় রাখুন যাতে তা সবসময়ে নজরে না পড়ে। সবসময়ে ঝাঁটা চোখের সামনে দেখলে তা অশুভ বলে মানা হয়। খোলা জায়গায় ঝাঁটা রাখলে ঘর অথবা অফিসের ধন সম্পদ বাইরে চলে যায় বলে, বাস্তু মতে সতর্ক করা হয়।
২) ঝাঁটা নষ্ট হয়ে গেলে বা ঝাঁটার বাঁধন আলগা হয়ে গেলে বা ভেঙে গেলেও তা ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু ঝাঁটা খুলে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দেওয়া উচিত। না হলে আর্থিক দুশ্চিন্তার কবলে পড়তে হতে পারে।
৩) সম্ভব হলে ঝাঁটা পশ্চিম দিকের কোনও ঘরে রাখা উচিত। তাহলে ঝাঁটার থেকে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে না।
৪) সন্ধেবেলা ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়। বাস্তু মতে, এর ফলে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হতে পারেন। ফলে, সন্ধে বা রাতের দিকে ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়।
৫) ঝাঁটা কখনও দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত নয়। ঝাঁটা দাঁড় করিয়ে রাখলে তা অশুভ বলে বিশ্বাস করা হয়। সেই কারণেই সবসময়ে ঝাঁটা শুইয়ে রাখা উচিত।
৬) শনিবার নতুন ঝাঁটা কখনও ব্যবহার শুরু করবেন না।
৭) হিন্দু ধর্মে ঝাঁটাকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক বলে বিশ্বাস করা হয়। ফলে কোনও সময়েই ঝাঁটায় পা লাগানো উচিত নয়। ঝাঁটায় পা লাগালে তা মা লক্ষ্মীর অপমান বলে বিশ্বাস করা হয়। ফলে, তার জেরে পরিবারে আর্থিক দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে।
৮) যদি কোনও সময়ে ঝাঁটা ধোয়া হয়, তাহলে তা যেন পরিষ্কার জলে ধোয়া হয়। নোংরা জলে ঝাঁটা ধোয়া হলে তার প্রভাবে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে।
তো ভিউয়ার্স এই ছিল আমাদের আজকের পোস্ট । পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার পরিজন বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন । আর হ্যা আপনি যদি এরকম ভিডিও দেখতে চান তাহলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি এখনই সাবস্ক্রাইব করে পাশের বেল আইকন এ ক্লিক করে রাখুন যেন নতুন ভিডিওগুলো আপনি সবার আগে পেয়ে যেতে পারেন ।
ধন্যবাদ ।
0 Comments