স্ত্রী বা নারী হলো মা, বোন, পত্নি, কন্যা এরকম হাজারো সম্পর্কের সাক্ষী যার গুরুত্ব এই সমাজে অপরিসীম । মনে করা হয় নারী হলো এই সংসারে সবচেয়ে রহস্যময় সৃষ্টি । কোন স্ত্রী এর প্রকৃতি সম্পর্কে বুঝতে গেলে কেটে যায় অনেক সময়, তবুও অনেক ক্ষেত্রে এ প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যায় না ।
হিন্দু শাস্ত্রে এমন কিছু কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে যেখানে স্বয়ং ভগবান অনেক সময় তার নিজেরই সৃষ্টি নারীকে বুঝতে সমর্থ হননি । ভগবান ব্রহ্মা, যিনি হলেন এই সংসারে সৃষ্টিকর্তা, সমস্ত কিছু বানাতে তার কিন্তু বেশি সময় লাগেনি, এমনকি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তৈরি করতে তার অধিক সময় লাগেনি তবে এমন এক সময় এলো যখন তিনিও চিন্তায় পড়ে গেলেন নারী সৃষ্টি করতে তার অনেক বেশি সময় লেগে গেল আরও একটা বিষয় হলো সব ধরনের মানুষই অনেক ক্ষেত্রে কথা গোপন করে রাখতে পারেন কিন্তু দেখা যায় অনেক মেয়ের পেটে কোন কথা গোপন থাকে না - কেন এমনটা হয় ।
নমস্কার হিন্দু শাস্ত্র জ্ঞান পরিবারে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই । আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় ভগবান যখন নারী সৃষ্টি করেছিলেন তখন কি এমন ঘটনা ঘটেছিল - এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন ।
ভগবান ব্রহ্মা এই সংসারে সৃষ্টি কাজের সময় যখন নারী তৈরি করেছিলেন, এতে অধিক সময় লাগছিল - যে কারণে অনেক দেব দূত তার কাছে এসে এই নিয়ে নানান প্রশ্ন করতে থাকে, সবাই জিজ্ঞাসা করলো যে আপনার এই নব সৃষ্টিতে এত সময় লাগছে কেন, অন্য সময় তো খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় ।
ব্রহ্মা বললেন আমার এই সৃষ্টি একদম ভিন্ন এবং এর গুনাবলী আমার অন্যান্য সৃষ্টি থেকে অনেক বেশি ।
এ যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে নিতে পারবে ।
সুখের সময় হোক কিংবা দুঃখের সময় সর্বদা নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে সেই সময় গুলিকে সুসময় করে তুলবে ।
পরিবারের সকল সদস্যের একাই সেবা করার ক্ষমতা থাকবে ।
অসুস্থ হওয়ার পরেও অনেক কঠিন কাজ করার ক্ষমতা থাকবে ।
শুধু তাই নয় অত্যন্ত ধৈর্যের অধিকারিণী হবে এই সৃষ্টি, যা অন্যের থেকে অনেক বেশি হবে ।
এত রকম ক্ষমতার কথা শুনে দেবদূতেরা অবাক হয়ে গেল । তারা গিয়ে সেই অদ্ভুত সৃষ্টির শরীরে স্পর্শ করতেই চমকে গেল । এত রকম ক্ষমতার পরেও এর চেহারা একদম সাধারন এবং খুবই কোমল ।
দেবদূতদের এরকম অবস্থা দেখে ব্রহ্মা হেসে বললেন, অবাক হওয়ার কিছুই নেই এই সৃষ্টি বাইরে থেকে যতটা নরম ভেতর থেকে ঠিক ততটাই শক্ত যে কারণে বাইরে থেকে দেখে একে কোমল ভাবাটা বড় ভুল হতে পারে । দুর্বলতার মধ্যেও ভয়ানক শক্তিশালী এই সৃষ্টি । যে কোন বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রেখে তার সমুচিত সমাধান করার ক্ষমতাও থাকবে ।
ব্রহ্মার সেই সৃষ্টির চোখে জল দেখতে পেয়ে দেবদূতরা অবাক হলো । তাদের কথায় ব্রহ্মা বললেন যখন এ দুর্বল হয়ে পড়বে তখনই মনের সমস্ত যন্ত্রণা ও ব্যথা নিজের অশ্রুর মাধ্যমে বিসর্জন দেবে আর পুনরায় আবার আগের মত শক্তিশালী হয়ে উঠবে, যা করার ক্ষমতা আমার আর কোন সৃষ্টির নেই ।
এরা এতটা সরল প্রকৃতির হবে যে কোন কথা নিজেদের মধ্যে লুকাতে পারবেনা, যে কারণে এদের অনেক সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে । দেবদূতেরা অবাক হয়ে বললেন তাহলে কি আপনার এই সৃষ্টি তৈরি হয়ে গিয়েছে । ব্রহ্মা বললেন না এত রকম ক্ষমতার পরেও এই নারী নিজের অস্তিত্বের কথা ভুলে যাবে যে সে কি করার ক্ষমতা রাখে আর কি করে দেখাতে পারে । তবে এই স্ত্রী যদি সর্বদা তাঁর পরিবারের সাথে থাকে তাহলে সেই পরিবারের কোনদিন কেউ ক্ষতি করতে পারবে না, নিজের পরিবারকে সর্বদা আগলে রাখবে এই নারী ।
আজকের এই পোস্টে আপনারা জানলেন ভগবানের নারী সৃষ্টি সম্পর্কে । সত্যি এই নারী হলো ভগবানের এক রহস্যময় সৃষ্টি - একাধারে বড় বড় সমস্যা গুলো নিমেষের মধ্যে সমাধান করতে পারে । পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন আর আপনি যদি আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে নতুন, তাহলে এখনই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিন ।
0 Comments